প্রতীক্ষা
শহিদুল ইসলাম আকাশ
ছয় মাস আগে শাড়িটা কেনা হয়েছে, এখনো একবারও পরা হয়নি। নীল রঙের শাড়ি। আজ হেনা শাড়িটা পরেছে৷ শাড়ির সাথে মিলিয়ে গহনাও৷ চোখে কাজল দিয়েছে, নাকে নথ। কাজল ও নথ পরলে হেনার স্বামী খুব প্রশংসা করে, খুশি হয়। নীল রঙটাও প্রিয় রঙ তাঁর। বলেন, 'কাজল ও নথ পরলে নারীদের অন্যরকম সুন্দর দেখায়। আর নীল পোশাকে নারীদের পরী পরী লাগে।'
আজ মানুষটা আসছেন। তিনি প্রবাসী। প্রবাসে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করেন। বিয়ের তিন মাস পর তাঁকে দুবাইতে চলে যেতে হয়। আড়াই বছর পর আজ দেশে আসছেন।
এয়ারপোর্টে নামার পর থেকে একটু পরপর ফোন দিচ্ছে হেনা, 'আর কতোক্ষণ?' শেষবার ফোনে বলেছেন, আর বিশ মিনিট লাগবে। কিন্তু বিশ মিনিটও শেষ হয় না কেন! হেনার কাছে এই বিশ মিনিট যেন অনন্ত একটি কাল হয়ে আছে৷ গতরাতেও এক ফোটা ঘুমায়নি সে, এমন দীর্ঘ রাত হেনার জীবনে কখনো আসেনি আর। কখন সকাল হবে, কখন মানুষটা আসবেন, কতোদিন পর দেখা হবে তাঁর সাথে!
সব প্রতীক্ষাই শেষ হয় একটা সময়। হেনার প্রতীক্ষাও শেষ হয়ে এলো। বাইরে গাড়ীর হর্ণ শুনা যাচ্ছে, মানুষটা এলেন অবশেষে৷
আয়নায় আরেকবার নিজেকে দেখে নিলো হেনা। চোখের কাজল, নাকের নথ, শাড়ি গহনা সব ঠিকঠাক আছে কিনা। নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ হলো সে।
এখন শুধু অপেক্ষা কখন মানুষটা সামনে এসে দাঁড়াবেন। তার দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হবার মুহূর্তটা কখন আসে। ভালো লাগছে, লজ্জাও কম লাগছে না। নিজে নিজেই বললো, 'লজ্জা কীসের, নিজের মানুষের সামনে লজ্জা কী!' যখন আসবেন, তখন তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে হেনা প্রথমে বলবে, 'দেখো তো কেমন লাগছে আমাকে?' শুনে মানুষটা কেমন হাসে কে জানে!
তিনি গাড়ি থেকে নামছেন। এগিয়ে আসছেন ঘরের দিকে। হেনার বুকের ভেতরটা কেমন জানি করছে। ইচ্ছে করছে এখনই ছুটে গিয়ে মানুষটাকে জড়িয়ে ধরতে, তারপর খুব করে কাঁদতে। কান্না কি শুধু দুখের হয়, সুখেও কি কাঁদে না মানুষ?
ছয় মাস আগে শাড়িটা কেনা হয়েছে, এখনো একবারও পরা হয়নি। নীল রঙের শাড়ি। আজ হেনা শাড়িটা পরেছে৷ শাড়ির সাথে মিলিয়ে গহনাও৷ চোখে কাজল দিয়েছে, নাকে নথ। কাজল ও নথ পরলে হেনার স্বামী খুব প্রশংসা করে, খুশি হয়। নীল রঙটাও প্রিয় রঙ তাঁর। বলেন, 'কাজল ও নথ পরলে নারীদের অন্যরকম সুন্দর দেখায়। আর নীল পোশাকে নারীদের পরী পরী লাগে।'
আজ মানুষটা আসছেন। তিনি প্রবাসী। প্রবাসে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করেন। বিয়ের তিন মাস পর তাঁকে দুবাইতে চলে যেতে হয়। আড়াই বছর পর আজ দেশে আসছেন।
এয়ারপোর্টে নামার পর থেকে একটু পরপর ফোন দিচ্ছে হেনা, 'আর কতোক্ষণ?' শেষবার ফোনে বলেছেন, আর বিশ মিনিট লাগবে। কিন্তু বিশ মিনিটও শেষ হয় না কেন! হেনার কাছে এই বিশ মিনিট যেন অনন্ত একটি কাল হয়ে আছে৷ গতরাতেও এক ফোটা ঘুমায়নি সে, এমন দীর্ঘ রাত হেনার জীবনে কখনো আসেনি আর। কখন সকাল হবে, কখন মানুষটা আসবেন, কতোদিন পর দেখা হবে তাঁর সাথে!
সব প্রতীক্ষাই শেষ হয় একটা সময়। হেনার প্রতীক্ষাও শেষ হয়ে এলো। বাইরে গাড়ীর হর্ণ শুনা যাচ্ছে, মানুষটা এলেন অবশেষে৷
আয়নায় আরেকবার নিজেকে দেখে নিলো হেনা। চোখের কাজল, নাকের নথ, শাড়ি গহনা সব ঠিকঠাক আছে কিনা। নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ হলো সে।
এখন শুধু অপেক্ষা কখন মানুষটা সামনে এসে দাঁড়াবেন। তার দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হবার মুহূর্তটা কখন আসে। ভালো লাগছে, লজ্জাও কম লাগছে না। নিজে নিজেই বললো, 'লজ্জা কীসের, নিজের মানুষের সামনে লজ্জা কী!' যখন আসবেন, তখন তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে হেনা প্রথমে বলবে, 'দেখো তো কেমন লাগছে আমাকে?' শুনে মানুষটা কেমন হাসে কে জানে!
তিনি গাড়ি থেকে নামছেন। এগিয়ে আসছেন ঘরের দিকে। হেনার বুকের ভেতরটা কেমন জানি করছে। ইচ্ছে করছে এখনই ছুটে গিয়ে মানুষটাকে জড়িয়ে ধরতে, তারপর খুব করে কাঁদতে। কান্না কি শুধু দুখের হয়, সুখেও কি কাঁদে না মানুষ?
Comments
Post a Comment