শিমুল তুলো
শহিদুল ইসলাম আকাশ
অনেকদিন হয় জিমে যাই না। তা প্রায় দেড় দুই বছরের কম হবে না। যার খাবার সময়েরই ঠিকঠাক থাকে না, তার কিনা আবার জিম!
জিমের ট্রেনার ছেলেটা দেখা হলেই জানতে চায়, কেন আসি না। যদিও আমার সীমাহীন ব্যস্ততার কথা তারও অজানা নয়।
সে বলে, 'জিম বন্ধ হওয়াতে আপনার শরীরের অবস্থা দেখেছেন? বিশেষত তখন আপনার বাইসেপ ছিলো প্রশংসা করার মতো। আগের সেই ফিটনেস কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ।'
জবাবে স্মিত হাসি দিয়ে কেটে পড়তে চেষ্টা করি। ট্রেনার ছেলেটা পিছন থেকে ডাকে আবার, আমি ফিরে তাকাই তার দিকে। সে বলে, 'আর কিছু না-হলেও, সাইক্লিং অথবা ট্রেডমিলে দিনের সামান্য কিছু সময় দৌঁড়ানো তো যায় অন্তত৷ সেটাই করুন না। ফি লাগবে না, আসবেন প্রতিদিন।'
তার এই কথায়ও আমি হাসি দিয়ে কেটে পড়লেও, ট্রেডমিলের কথা শুনে এক ধরনের আগ্রহও হলো, আমি যখন তার জিমে যেতাম, তখন ট্রেডমিল ছিলো না। প্রায়ই একটা ট্রেডমিলের কথা বলতাম তখন। এখন ট্রেডমিল এনেছে সে, শুধু আমারই সময় নেই যাবার।
দৌঁড়তে খুব পছন্দ করতাম আমি। একটা সময় ছিলো, তখন আমি অমল কিশোর, চট্টগ্রাম শহরের রেললাইনে খুব দৌঁড়াতাম। বাসার পাশ দিয়েই ছিলো রেললাইন। ফজরের আযানের সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে, নির্জন রেললাইন ধরে দৌঁড়াতাম। প্রচণ্ড শীতেও ঘেমেনেয়ে একাকার হয়ে যেতাম। মাঝে কয়েক বছর জিমে ঘাম ঝরিয়েছি নিয়মিত, এখন তো দৌঁড়ানোর কথা দূরে থাক, হাঁটাহাঁটিও হয় না খুব একটা।
ট্রেডমিল অথবা শান্ত নির্জন কোনো রেললাইন ধরে দৌঁড়ানো না-হলেও, একরকম দৌঁড়ানো তো তবু আছে এই ঘোরলাগা সময়েও-- সেই দৌঁড় বাস্তবতার দৌঁড়। আমি এমন করে ভেবে নিজেকে প্রবোধ দেবার চেষ্টা করি।
সেই পথ যদিও বড় আঁকাবাঁকা পথ, তবু তারও টান কম নয় কিছু। এই দৌঁড়ে আছে ছুঁয়ে দেবার আকাঙ্ক্ষা সেই মায়াহরিণ-- জীবন যার নাম।
দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে একবার পিছু ফিরে তাকালেই দেখি, বাতাসে উড়ছে রাশিরাশি নরম শিমুল তুলো-- উড়ন্ত এসব শিমুল তুলোকে আমি ভালোবাসা বলে ভ্রম করি, প্রায়ই।
অনেকদিন হয় জিমে যাই না। তা প্রায় দেড় দুই বছরের কম হবে না। যার খাবার সময়েরই ঠিকঠাক থাকে না, তার কিনা আবার জিম!
জিমের ট্রেনার ছেলেটা দেখা হলেই জানতে চায়, কেন আসি না। যদিও আমার সীমাহীন ব্যস্ততার কথা তারও অজানা নয়।
সে বলে, 'জিম বন্ধ হওয়াতে আপনার শরীরের অবস্থা দেখেছেন? বিশেষত তখন আপনার বাইসেপ ছিলো প্রশংসা করার মতো। আগের সেই ফিটনেস কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ।'
জবাবে স্মিত হাসি দিয়ে কেটে পড়তে চেষ্টা করি। ট্রেনার ছেলেটা পিছন থেকে ডাকে আবার, আমি ফিরে তাকাই তার দিকে। সে বলে, 'আর কিছু না-হলেও, সাইক্লিং অথবা ট্রেডমিলে দিনের সামান্য কিছু সময় দৌঁড়ানো তো যায় অন্তত৷ সেটাই করুন না। ফি লাগবে না, আসবেন প্রতিদিন।'
তার এই কথায়ও আমি হাসি দিয়ে কেটে পড়লেও, ট্রেডমিলের কথা শুনে এক ধরনের আগ্রহও হলো, আমি যখন তার জিমে যেতাম, তখন ট্রেডমিল ছিলো না। প্রায়ই একটা ট্রেডমিলের কথা বলতাম তখন। এখন ট্রেডমিল এনেছে সে, শুধু আমারই সময় নেই যাবার।
দৌঁড়তে খুব পছন্দ করতাম আমি। একটা সময় ছিলো, তখন আমি অমল কিশোর, চট্টগ্রাম শহরের রেললাইনে খুব দৌঁড়াতাম। বাসার পাশ দিয়েই ছিলো রেললাইন। ফজরের আযানের সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে, নির্জন রেললাইন ধরে দৌঁড়াতাম। প্রচণ্ড শীতেও ঘেমেনেয়ে একাকার হয়ে যেতাম। মাঝে কয়েক বছর জিমে ঘাম ঝরিয়েছি নিয়মিত, এখন তো দৌঁড়ানোর কথা দূরে থাক, হাঁটাহাঁটিও হয় না খুব একটা।
ট্রেডমিল অথবা শান্ত নির্জন কোনো রেললাইন ধরে দৌঁড়ানো না-হলেও, একরকম দৌঁড়ানো তো তবু আছে এই ঘোরলাগা সময়েও-- সেই দৌঁড় বাস্তবতার দৌঁড়। আমি এমন করে ভেবে নিজেকে প্রবোধ দেবার চেষ্টা করি।
সেই পথ যদিও বড় আঁকাবাঁকা পথ, তবু তারও টান কম নয় কিছু। এই দৌঁড়ে আছে ছুঁয়ে দেবার আকাঙ্ক্ষা সেই মায়াহরিণ-- জীবন যার নাম।
দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে একবার পিছু ফিরে তাকালেই দেখি, বাতাসে উড়ছে রাশিরাশি নরম শিমুল তুলো-- উড়ন্ত এসব শিমুল তুলোকে আমি ভালোবাসা বলে ভ্রম করি, প্রায়ই।
Comments
Post a Comment