দুঃখ যা দেবার
শহিদুল ইসলাম আকাশ
প্রেমিকার স্পষ্ট জবাব, 'সিদ্ধান্ত ফাইনাল।'
প্রেমিকের অস্পষ্ট আপত্তি, 'প্রহসনের সিদ্ধান্ত মানি না।' ঠোঁটের রেখায় হাসি।
প্রেমিকা বলে, 'মানি না মানে? প্রহসনটাই বা কী?'
'ফাইনালের আগে অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করতে হয়__প্রথম রাউন্ড, দ্বিতীয় রাউন্ড, কোয়াটার ফাইনাল, সেমিফাইনাল। এসব বাদ দিয়ে সরাসরি ফাইনালে চলে যাওয়া, প্রহসন নয়তো কী?' প্রেমিকের সকৌতুক উত্তর।
এমন কথাতেও প্রেমিককে হাসতে দেখে প্রেমিকা অবাক হয়, বলে, 'ঠাট্টা করবে না। ঠাট্টা আমি একদম পছন্দ করি না। তাছাড়া আমি যা বলেছি, তা অনেক সিরিয়াস ব্যাপার, তামাশা করবে না।'
প্রেমিকা তার মা-বাবার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে যাচ্ছে, ফাইনাল সিদ্ধান্ত এটাই। প্রেমিক পুরুষটি একজন কবি। প্রেমিকা বলে, 'কবি না-হয়ে তুমি যদি ফুটপাতের পানসিগারেটের দোকানকারও হতে, তাহলেও তোমাকে বিয়ে করতে আমার আপত্তি ছিলো না। শুধু হাওয়া খেয়ে, ভাবুক হয়ে জীবন কাটানো যায় না। জীবনটা অনেক বড় ব্যাপার।'
প্রেমিকার 'ফাইনাল' সিদ্ধান্তটাই ফাইনাল হয়। কবিকে ভালোবাসা যায়, কিন্তু তার সাথে সারা জীবন কাটানোর মতো জঘন্য ব্যাপার আর কিছুই হতে পারে না। বিয়ে করে পরিবারের পছন্দের ছেলেকেই।
কোনো কোনো রাতে যখন এমনি করে আকাশ জুড়ে ছেয়ে থাকে অনন্ত নক্ষত্রবীথি, তারার ভারে আকাশটা যখন পৃথিবীর খুব কাছে নেমে আসে__প্রেমিক সেই তারা ভরা আকাশের দিকে চেয়ে থাকে আর ভাবে, কী অর্থ এই অনন্ত নক্ষত্রবীথির! ফুলের বাগানের মতো তারার বাগান সাজিয়ে রাখেন যিনি, এর পেছনে তাঁর উদ্দেশ্যইবা কি?
এই একই আকাশের নিচে, এই পৃথিবীরই অন্য কোনো প্রান্তে, সেই প্রেমিকাও নিশ্চয় এমন সময় আকাশের দিকে তাকায় আর অনেক তারার ভীড়ে একটি তারা খুঁজে বেড়ায়, যে তারাটি একদিন তার একান্ত ছিলো! প্রেমিকা নারীটি তখন কি বুঝতে পারে যে, দুঃখ যা দেবার তা আমরা নিজেরাই নিজেদের দিই, অন্যকে দোষী করি শুধুশুধু!
প্রেমিকার স্পষ্ট জবাব, 'সিদ্ধান্ত ফাইনাল।'
প্রেমিকের অস্পষ্ট আপত্তি, 'প্রহসনের সিদ্ধান্ত মানি না।' ঠোঁটের রেখায় হাসি।
প্রেমিকা বলে, 'মানি না মানে? প্রহসনটাই বা কী?'
'ফাইনালের আগে অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করতে হয়__প্রথম রাউন্ড, দ্বিতীয় রাউন্ড, কোয়াটার ফাইনাল, সেমিফাইনাল। এসব বাদ দিয়ে সরাসরি ফাইনালে চলে যাওয়া, প্রহসন নয়তো কী?' প্রেমিকের সকৌতুক উত্তর।
এমন কথাতেও প্রেমিককে হাসতে দেখে প্রেমিকা অবাক হয়, বলে, 'ঠাট্টা করবে না। ঠাট্টা আমি একদম পছন্দ করি না। তাছাড়া আমি যা বলেছি, তা অনেক সিরিয়াস ব্যাপার, তামাশা করবে না।'
প্রেমিকা তার মা-বাবার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে যাচ্ছে, ফাইনাল সিদ্ধান্ত এটাই। প্রেমিক পুরুষটি একজন কবি। প্রেমিকা বলে, 'কবি না-হয়ে তুমি যদি ফুটপাতের পানসিগারেটের দোকানকারও হতে, তাহলেও তোমাকে বিয়ে করতে আমার আপত্তি ছিলো না। শুধু হাওয়া খেয়ে, ভাবুক হয়ে জীবন কাটানো যায় না। জীবনটা অনেক বড় ব্যাপার।'
প্রেমিকার 'ফাইনাল' সিদ্ধান্তটাই ফাইনাল হয়। কবিকে ভালোবাসা যায়, কিন্তু তার সাথে সারা জীবন কাটানোর মতো জঘন্য ব্যাপার আর কিছুই হতে পারে না। বিয়ে করে পরিবারের পছন্দের ছেলেকেই।
কোনো কোনো রাতে যখন এমনি করে আকাশ জুড়ে ছেয়ে থাকে অনন্ত নক্ষত্রবীথি, তারার ভারে আকাশটা যখন পৃথিবীর খুব কাছে নেমে আসে__প্রেমিক সেই তারা ভরা আকাশের দিকে চেয়ে থাকে আর ভাবে, কী অর্থ এই অনন্ত নক্ষত্রবীথির! ফুলের বাগানের মতো তারার বাগান সাজিয়ে রাখেন যিনি, এর পেছনে তাঁর উদ্দেশ্যইবা কি?
এই একই আকাশের নিচে, এই পৃথিবীরই অন্য কোনো প্রান্তে, সেই প্রেমিকাও নিশ্চয় এমন সময় আকাশের দিকে তাকায় আর অনেক তারার ভীড়ে একটি তারা খুঁজে বেড়ায়, যে তারাটি একদিন তার একান্ত ছিলো! প্রেমিকা নারীটি তখন কি বুঝতে পারে যে, দুঃখ যা দেবার তা আমরা নিজেরাই নিজেদের দিই, অন্যকে দোষী করি শুধুশুধু!


Comments
Post a Comment