মুখ ও মুখোশ

শহিদুল ইসলাম আকাশ   

এক সাথে তিনটা মুখোশ কিনতে হলো। সবগুলোই জন্তুজানোয়ারের। ছেলের আবদার, তাই না-কিনে নিস্তার নেই। প্রতিবেশী কার ছেলের মুখে মুখোশ দেখেছে সে, এমন মুখোশ এখন তারও লাগবে। বাবা হয়ে ছেলের আবদার না-রেখে পারা যায়?

আমার ছেলেটা খেলনাপাগল। প্রতিদিনই ওর জন্য কিছু না খেলনা কিনতে হয়। একদিন খেলনা আনতে ভুলে গেলে, সেদিন আমার সাথে অভিমানে কথা বলে না আর। মুখ ফিরিয়ে রাখে, সামনে আসে না আমার। বয়স পাঁচ বছর হয়নি এখনো, এটুকু বয়সেই এতোটা অভিমান, ভাবা যায়!

নতুন কিনে আনা মুখোশগুলো এনে ছেলের হাতে দিতেই, সে খুশিতে আটখানা। একটু পরপর একেকটা মুখে লাগিয়ে আমাকে ভয় দেখায়। আমিও ভয় পাবার ভাব দেখাই। সে তো জানে না আর যে, আমি মুখোশ চিনি। শত্রুর মুখে বন্ধুর মুখোশ চিনতেও খুব একটা ভুল হয় না আমার।

ছেলে মুখোশগুলো নিয়ে খেলছে। কখনো এটা মুখে লাগায় তো কখনো ওটা। একদিন যখন আমার ছেলেটা বড় হবে, মুখোশের আড়ালের আসল মুখটা তখন সে চিনতে পারবে তো?

Comments