ইনবক্স কথন
শহিদুল ইসলাম আকাশ
ছেলেটা: তোমাকে একটা কথা বলবার ছিলো।
মেয়েটা: বারে বাহ! প্রথম আলাপেই 'তুমি' সম্বোধন!
ছেলেটা: আলাপ প্রথম হলেও, নিবিড় পর্যবেক্ষণ তো বেশ আগে থেকেই। তাছাড়া 'আপনি' বললে কেমন দূরের মানুষ মনে হয়, তাই।
মেয়েটা: আমি কি দূরের মানুষ নই?
ছেলেটা: দূরের নও বলেই তো...
মেয়েটা: 'তুমি' অথবা 'আপনি'র বাইরেও তো আরেকটা সম্বোধন থাকে, 'তুই'।
ছেলেটা: 'তুই' বললে খুব বেশি কাছের মনে হয়। খুব দূরের না আবার খুব কাছেরও না--আমি এমন করে তোমাকে ভাবি...
মেয়েটা: কী জটিল কথা। সে যাক। তা আমাকে কী কথা বলার ছিলো আপনার?
ছেলেটা: কথাটা হৃদয়সংক্রান্ত।
মেয়েটা: যেমন...
ছেলেটা: প্রেম বা ভালোবাসা বলা হয় যাকে।
মেয়েটা: হাসালেন। 'ইস শহর মে তুম জ্যয়সে, দিওয়ানে হাজারো হ্যায়', জনাব।
ছেলেটা: জানি তা আছে। তোমার মতো রূপবতীর তারও বেশিই থাকার কথা। কিন্তু হাজারের থেকেও একজন তো থাকে আলাদা, সবিশেষ।
মেয়েটা: সেই একজন যে আপনিই হবেন, তা নিশ্চিত হলেন কী করে?
ছেলেটা: নিশ্চিত নই ঠিক কিন্তু নিশ্চিত হতে চাই।
মেয়েটা: সে সম্ভাবনা আছে বলে ভাবছেন?
ছেলেটা: হুম। এই পৃথিবীতে অবিশ্বাস্য বলে কিছু নেই, বিশ্বাসের জোরেই সবকিছু পাওয়া যায় এখানে।
মেয়েটা: তা কেন আমাকে সবিশেষ কথাটা বলবার এতো ইচ্ছে আপনার?
ছেলেটা: আমি কি আর জানি, 'তু নে ও রঙ্গিলে ক্যায়সা যাদু কিয়া'!
মেয়েটা: আপনি তো ভারী পাগল। গানও গেয়ে দিতে চাইছেন দেখি!
ছেলেটা: পাগল কে নয়? পাগলপনায় সবাই পাগল।
মেয়েটা: আমিও কি...?
ছেলেটা: উঁহু, তুমি অবশ্য তা নও।
মেয়েটা: তাহলে বললেন যে সবাই পাগল? এই সবাইর মধ্যে আমিও কি নেই?
ছেলেটা: আছো। তবু তুমি পাগল নও, পাগলী।
মেয়েটা: ওই হলো, পাগল যা পাগলীও ঠিক তা।
ছেলেটা: তা অবশ্য ঠিক। তবে পাগলামিও এক ধরনের শিল্প। বলা যায়, শ্রেষ্ঠ শিল্প। মানুষ প্রেমে পড়লে এই শিল্প পূর্ণতা পায়। তখন সবাই সফল শিল্পী।
মেয়েটা: এই শিল্প আমার দ্বারা হবে না, শিল্পী হওয়া তো অনেক দূরের কথা।
ছেলেটা: হলে দোষ কী? ক্ষতিইবা কী? এসো, হাতটা বাড়াও...
মেয়েটা: আপনি তো শুধু পাগলই না ভারী অসভ্যও দেখি!
ছেলেটা: পাগলামির মতো প্রেমে অসভ্যতাও শিল্পের পর্যায়ে পড়ে। হাত কি বাড়াবে না?
মেয়েটা: জানি না। একটা গান শুনানো যায় অবশ্য, পুরোনো দিনের হিন্দি গান।
ছেলেটা: তাই না-হয় শুনাও। গানে গানে হলেও যদি কোনো বার্তা আসে।
মেয়েটা: 'আঁখিয়োকে ঝারোকে সে,
মে নে দেখা যো সা বেরে;
তুম দূর নজর আয়ে,
বড়ি দূর নজর আয়ে।...'
#ইনবক্স_কথন
(আমার এই সিরিজের লেখাগুলোতে সত্যতা কিঞ্চিত যদিওবা থাকে, বেশিরভাগই কল্পনা। সুতরাং, আমি নিজে কিংবা অন্য কেউ এখানে কোনো চরিত্র, এমনটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই।)।
ছেলেটা: তোমাকে একটা কথা বলবার ছিলো।
মেয়েটা: বারে বাহ! প্রথম আলাপেই 'তুমি' সম্বোধন!
ছেলেটা: আলাপ প্রথম হলেও, নিবিড় পর্যবেক্ষণ তো বেশ আগে থেকেই। তাছাড়া 'আপনি' বললে কেমন দূরের মানুষ মনে হয়, তাই।
মেয়েটা: আমি কি দূরের মানুষ নই?
ছেলেটা: দূরের নও বলেই তো...
মেয়েটা: 'তুমি' অথবা 'আপনি'র বাইরেও তো আরেকটা সম্বোধন থাকে, 'তুই'।
ছেলেটা: 'তুই' বললে খুব বেশি কাছের মনে হয়। খুব দূরের না আবার খুব কাছেরও না--আমি এমন করে তোমাকে ভাবি...
মেয়েটা: কী জটিল কথা। সে যাক। তা আমাকে কী কথা বলার ছিলো আপনার?
ছেলেটা: কথাটা হৃদয়সংক্রান্ত।
মেয়েটা: যেমন...
ছেলেটা: প্রেম বা ভালোবাসা বলা হয় যাকে।
মেয়েটা: হাসালেন। 'ইস শহর মে তুম জ্যয়সে, দিওয়ানে হাজারো হ্যায়', জনাব।
ছেলেটা: জানি তা আছে। তোমার মতো রূপবতীর তারও বেশিই থাকার কথা। কিন্তু হাজারের থেকেও একজন তো থাকে আলাদা, সবিশেষ।
মেয়েটা: সেই একজন যে আপনিই হবেন, তা নিশ্চিত হলেন কী করে?
ছেলেটা: নিশ্চিত নই ঠিক কিন্তু নিশ্চিত হতে চাই।
মেয়েটা: সে সম্ভাবনা আছে বলে ভাবছেন?
ছেলেটা: হুম। এই পৃথিবীতে অবিশ্বাস্য বলে কিছু নেই, বিশ্বাসের জোরেই সবকিছু পাওয়া যায় এখানে।
মেয়েটা: তা কেন আমাকে সবিশেষ কথাটা বলবার এতো ইচ্ছে আপনার?
ছেলেটা: আমি কি আর জানি, 'তু নে ও রঙ্গিলে ক্যায়সা যাদু কিয়া'!
মেয়েটা: আপনি তো ভারী পাগল। গানও গেয়ে দিতে চাইছেন দেখি!
ছেলেটা: পাগল কে নয়? পাগলপনায় সবাই পাগল।
মেয়েটা: আমিও কি...?
ছেলেটা: উঁহু, তুমি অবশ্য তা নও।
মেয়েটা: তাহলে বললেন যে সবাই পাগল? এই সবাইর মধ্যে আমিও কি নেই?
ছেলেটা: আছো। তবু তুমি পাগল নও, পাগলী।
মেয়েটা: ওই হলো, পাগল যা পাগলীও ঠিক তা।
ছেলেটা: তা অবশ্য ঠিক। তবে পাগলামিও এক ধরনের শিল্প। বলা যায়, শ্রেষ্ঠ শিল্প। মানুষ প্রেমে পড়লে এই শিল্প পূর্ণতা পায়। তখন সবাই সফল শিল্পী।
মেয়েটা: এই শিল্প আমার দ্বারা হবে না, শিল্পী হওয়া তো অনেক দূরের কথা।
ছেলেটা: হলে দোষ কী? ক্ষতিইবা কী? এসো, হাতটা বাড়াও...
মেয়েটা: আপনি তো শুধু পাগলই না ভারী অসভ্যও দেখি!
ছেলেটা: পাগলামির মতো প্রেমে অসভ্যতাও শিল্পের পর্যায়ে পড়ে। হাত কি বাড়াবে না?
মেয়েটা: জানি না। একটা গান শুনানো যায় অবশ্য, পুরোনো দিনের হিন্দি গান।
ছেলেটা: তাই না-হয় শুনাও। গানে গানে হলেও যদি কোনো বার্তা আসে।
মেয়েটা: 'আঁখিয়োকে ঝারোকে সে,
মে নে দেখা যো সা বেরে;
তুম দূর নজর আয়ে,
বড়ি দূর নজর আয়ে।...'
#ইনবক্স_কথন
(আমার এই সিরিজের লেখাগুলোতে সত্যতা কিঞ্চিত যদিওবা থাকে, বেশিরভাগই কল্পনা। সুতরাং, আমি নিজে কিংবা অন্য কেউ এখানে কোনো চরিত্র, এমনটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই।)।
Comments
Post a Comment