অনিত্য সংসারে
শহিদুল ইসলাম আকাশ
ফোনে রিং হচ্ছে। স্কিনে কলদাতার নাম ভেসে উঠলো, আমার এক বন্ধুর ফোন। রাতের এই সময়টায় আমি পড়ি ও লিখি। পারতপক্ষে ফোন রিসিভ করি না। করলে মনোযোগ নষ্ট হয়, তাই। কিন্তু ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে রিসিভ করতে হলো।
ফোনের ওপাশ থেকে বন্ধু বললো, 'কী করছিস? নিশ্চয় বাইরে বসে জোছনা দেখছিস।'
আমি আমতা আমতা করে বললাম, 'জো-ছ-না!'
বন্ধু হেসে বললো, 'ছাগলের মতো ম্যা ম্যা করে কথা বলছিস কেন? কাল তো মধু পূর্ণিমা ছিলো। চাঁদের হিসাব তোর চেয়ে ভালো আর কেউ তো রাখে না আমাদের মধ্যে।'
আমি হেসে বললাম, 'সেইসব গতজন্মের কথা। কাল যে মধু পূর্ণিমা ছিলো, তাও এই প্রথম তোর মুখ থেকে শুনলাম।'
এরপর আরো কিছু কথাটথা হলো। মিনিট তিনেকের কথার পর ফোন রেখে দিলাম। ফোন রেখেই বাইরে বের হয়ে এলাম। বন্ধুর মুখে জোছনার কথা শুনে আর বসে থাকা যায় না। একজন জোছনাবিলাসীর কাছে, জোছনার অমল আহ্বান বলে কথা।
বাইরে এসে দেখি ঝকঝকে চাঁদের আলো। অপরূপ রহস্যময় আলোয় ভেসে যাচ্ছে সমস্ত চরাচর। এমন চাঁদনী রাত অথচ একটু আগেও বাইক নিয়ে ফেরার পথে তা একবারও খেয়াল করিনি। কী ভীষণ বদলে গেলাম আমি! ভেবে অবাক হলাম।
অনিত্য এই সংসার আমাদের সবার। কিন্তু জোছনার আলো-আঁধারিতে একা একা হাঁটতে হাঁটতে এই মুহূর্তে কেন এমনটা মনে হচ্ছে যে, মূলত অনিত্য বলে কিছু নেই এই সংসারে! তবে কি নিত্যই সত্য! এই যে কোনো এক গন্তব্যের আশায় অবিরাম ছুটে যাওয়া মানুষের, এও কি তবে মিথ্যে!
বুঝি, আমরা সবাই ছুটে যেতে ভালোবাসি শুধু, গন্তব্য সে তো এক হাস্যকর অজুহাত।
ফোনে রিং হচ্ছে। স্কিনে কলদাতার নাম ভেসে উঠলো, আমার এক বন্ধুর ফোন। রাতের এই সময়টায় আমি পড়ি ও লিখি। পারতপক্ষে ফোন রিসিভ করি না। করলে মনোযোগ নষ্ট হয়, তাই। কিন্তু ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে রিসিভ করতে হলো।
ফোনের ওপাশ থেকে বন্ধু বললো, 'কী করছিস? নিশ্চয় বাইরে বসে জোছনা দেখছিস।'
আমি আমতা আমতা করে বললাম, 'জো-ছ-না!'
বন্ধু হেসে বললো, 'ছাগলের মতো ম্যা ম্যা করে কথা বলছিস কেন? কাল তো মধু পূর্ণিমা ছিলো। চাঁদের হিসাব তোর চেয়ে ভালো আর কেউ তো রাখে না আমাদের মধ্যে।'
আমি হেসে বললাম, 'সেইসব গতজন্মের কথা। কাল যে মধু পূর্ণিমা ছিলো, তাও এই প্রথম তোর মুখ থেকে শুনলাম।'
এরপর আরো কিছু কথাটথা হলো। মিনিট তিনেকের কথার পর ফোন রেখে দিলাম। ফোন রেখেই বাইরে বের হয়ে এলাম। বন্ধুর মুখে জোছনার কথা শুনে আর বসে থাকা যায় না। একজন জোছনাবিলাসীর কাছে, জোছনার অমল আহ্বান বলে কথা।
বাইরে এসে দেখি ঝকঝকে চাঁদের আলো। অপরূপ রহস্যময় আলোয় ভেসে যাচ্ছে সমস্ত চরাচর। এমন চাঁদনী রাত অথচ একটু আগেও বাইক নিয়ে ফেরার পথে তা একবারও খেয়াল করিনি। কী ভীষণ বদলে গেলাম আমি! ভেবে অবাক হলাম।
অনিত্য এই সংসার আমাদের সবার। কিন্তু জোছনার আলো-আঁধারিতে একা একা হাঁটতে হাঁটতে এই মুহূর্তে কেন এমনটা মনে হচ্ছে যে, মূলত অনিত্য বলে কিছু নেই এই সংসারে! তবে কি নিত্যই সত্য! এই যে কোনো এক গন্তব্যের আশায় অবিরাম ছুটে যাওয়া মানুষের, এও কি তবে মিথ্যে!
বুঝি, আমরা সবাই ছুটে যেতে ভালোবাসি শুধু, গন্তব্য সে তো এক হাস্যকর অজুহাত।


Comments
Post a Comment