সময়-দুঃসময়
শহিদুল ইসলাম আকাশ
লিখতে বসেছি। লিখছি কিন্তু মনমতো হচ্ছে না। তাই মুছে ফেলছি আবার, বিরক্তিতে। রাত বাড়ছে ক্রমশ, তবু এই কাজে বিরাম নেই আমার।
কয়েকদিনের বিরতিতে লিখতে বসলে এমনই হয়। লেখালেখি তো অবসর কাটানোর বিষয় নয়, লেখালেখি চব্বিশ ঘন্টার কাজ, সামান্য বিরতিও তাই সে সহ্য করে না কিছুতেই। লেখা তখন হয়ে উঠে অভিমানী প্রেমিকার মতো, কিছুতেই এই মান ভাঙে না আর।
সেদিন বউবচ্চা নিয়ে এক জায়গায় বেড়াতে গেছি। দুপুরবেলা এক রেস্টুরেন্টে খেতে ঢুকছি, এমন সময় রেস্টুরেন্টের মুখে ঝুলিয়ে রাখা খাঁচার মধ্যে বন্দী তোতা পাখিটা নাকি কন্ঠে ডেকে উঠলো, 'কেঁমন আঁছো?' পাখির কন্ঠে মানুষের ভাষা শুনে আমার চার বছরের ছেলেটা বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেলো। সে আর রেস্টুরেন্টের ভেতরে ডুকবে না, খাঁচাটার সামনেই দাঁড়িয়ে থাকবে। খাঁচার ভেতর বন্দী পাখিটা আবার নাকি কণ্ঠে কখন বলে উঠে, 'কেঁমন আঁছো!'
আমার বাচ্চাছেলেটার এমন অভিভূতির কোনো মূল্য নেই হয়তো অন্য কারো কাছে, কিন্তু তার নিজের কাছে এর দাম কম নয়। এমনি করে আমার ছাইপাঁশ লেখাও কারো কারো ভালো না-লাগতে পারে, কিন্তু একটি নতুন লেখা লিখে শেষ করার পর আমার যে অনুভূতি হয়, সেই অনুভূতি আমার নিজের কাছে অমূল্য। এক লেখালেখির জন্যই আমি তাই কঠিন দুঃসময়েও বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতে পারি।
বুঝি যে, কঠিন দুঃসময়ে যে এসে হাত ধরে আবার যে হাত ছেড়ে নেয়--এই দুইকেই সারাজীবন মনে রাখতে হয়।
লিখতে বসেছি। লিখছি কিন্তু মনমতো হচ্ছে না। তাই মুছে ফেলছি আবার, বিরক্তিতে। রাত বাড়ছে ক্রমশ, তবু এই কাজে বিরাম নেই আমার।
কয়েকদিনের বিরতিতে লিখতে বসলে এমনই হয়। লেখালেখি তো অবসর কাটানোর বিষয় নয়, লেখালেখি চব্বিশ ঘন্টার কাজ, সামান্য বিরতিও তাই সে সহ্য করে না কিছুতেই। লেখা তখন হয়ে উঠে অভিমানী প্রেমিকার মতো, কিছুতেই এই মান ভাঙে না আর।
সেদিন বউবচ্চা নিয়ে এক জায়গায় বেড়াতে গেছি। দুপুরবেলা এক রেস্টুরেন্টে খেতে ঢুকছি, এমন সময় রেস্টুরেন্টের মুখে ঝুলিয়ে রাখা খাঁচার মধ্যে বন্দী তোতা পাখিটা নাকি কন্ঠে ডেকে উঠলো, 'কেঁমন আঁছো?' পাখির কন্ঠে মানুষের ভাষা শুনে আমার চার বছরের ছেলেটা বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেলো। সে আর রেস্টুরেন্টের ভেতরে ডুকবে না, খাঁচাটার সামনেই দাঁড়িয়ে থাকবে। খাঁচার ভেতর বন্দী পাখিটা আবার নাকি কণ্ঠে কখন বলে উঠে, 'কেঁমন আঁছো!'
আমার বাচ্চাছেলেটার এমন অভিভূতির কোনো মূল্য নেই হয়তো অন্য কারো কাছে, কিন্তু তার নিজের কাছে এর দাম কম নয়। এমনি করে আমার ছাইপাঁশ লেখাও কারো কারো ভালো না-লাগতে পারে, কিন্তু একটি নতুন লেখা লিখে শেষ করার পর আমার যে অনুভূতি হয়, সেই অনুভূতি আমার নিজের কাছে অমূল্য। এক লেখালেখির জন্যই আমি তাই কঠিন দুঃসময়েও বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতে পারি।
বুঝি যে, কঠিন দুঃসময়ে যে এসে হাত ধরে আবার যে হাত ছেড়ে নেয়--এই দুইকেই সারাজীবন মনে রাখতে হয়।
Comments
Post a Comment